উপন্যাসের মূল চরিত্রগুলি হল: শ্রীকান্ত — নায়ক ইন্দ্রনাথ—শ্রীকান্তের দুঃসাহসিক বন্ধু আন্নাদাদিদি — একজন বহিষ্কৃত মহিলা এবং একজন সাপ-মোহিতের স্ত্রী রাজলক্ষ্মী (প্যারি বাইজি) — শ্রীকান্তের প্রেমে এক নর্তকী মেয়ে অভয়া — রেঙ্গুনগামী একজন মহিলা যার স্বামী শ্রীকান্তের অফিসে কর্মচারী। কমলতা—একজন উজ্জ্বল বৈষ্ণবী গহর—শ্রীকান্তের মুসলিম বন্ধু যে কমলতাকে ভালোবাসে রতন — রাজলক্ষ্মীর বুদ্ধিমান এবং বিশ্বস্ত দাস বইটিতে অসংখ্য নারী চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে - যার বেশিরভাগই শরৎচন্দ্রের ব্যক্তিগত পরিচিত নারীদের উপর ভিত্তি করে। অন্নদা দিদি একজন রক্ষণশীল মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠেন, যিনি একজন সর্পযাত্রীর সাথে পালিয়ে যান. যদিও তার স্বামী একজন বদমাশ, অন্নদা তার প্রতি অনুগত থাকেন, যার জন্য তরুণ শ্রীকান্ত তাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। এই চরিত্রটি একজন মুসলিম মহিলার উপর ভিত্তি করে তৈরি যিনি তার সর্পযাত্রী স্বামীর সাথে শরতের গ্রামের কাছে একটি গ্রামে থাকতেন। ছোটবেলায়, শরত প্রায়শই তার বন্ধু ইন্দ্রনাথের সাথে তার সাথে দেখা করতে যেতেন। ইন্দ্রনাথ সাহসী এবং সাহসী ব্যক্তি যিনি সর্বদা শরতকে অনুপ্রাণিত করেন। অন্নদার স্বামী মারা যাওয়ার পর, এই মহিলা স্থানীয় মুদি দোকানদারের কাছে তার কানের দুল বিক্রি করে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে প্রাপ্ত অর্থ শরতকে দেওয়া হোক এবং তার পরেই তিনি স্থায়ীভাবে তার গ্রাম ছেড়ে চলে যান. বইটির আরেকটি চরিত্র হল অভয়া, যে তার স্বামীর দ্বারা পরিত্যক্ত হওয়ার পর বিদ্যমান সামাজিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করে একজন পুরুষের সাথে লিভ ইন রিলেশনশিপ শুরু করে। এই চরিত্রটি শরৎচন্দ্রের রেঙ্গুনে পরিচিত এক মহিলার উপর ভিত্তি করে তৈরি , যিনি যান্ত্রিক এবং কারিগর অধ্যুষিত একটি এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী মাঝে মাঝে এই মহিলাকে মারধর করতেন, কিন্তু দাসত্বের কারণে তিনি তাকে ছেড়ে যেতেন না, যদিও একজন পুরুষ তাকে ভালোবাসতেন এবং তার দুর্দশা থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। বইটিতে শরৎচন্দ্র নারীদের নিজেদের অধিকার দাবি করার চিত্র তুলে ধরেছেন তাদের নিজস্ব কণ্ঠে। অভয়া যা করেছে তার যথার্থতা নিয়ে অভয়ার সাথে নায়ক শ্রীকান্তের তর্ক হয়; শ্রীকান্ত গোঁড়া এবং ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তি দেন, কিন্তু অভয়া তার সমস্ত যুক্তি বুদ্ধিমত্তার সাথে ভেঙে ফেলেন।